ষ-ত্ব বিধান সহজে মনে রাখার কৌশল
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এতই অপরিষ্কার !
৩৫ তম বিসিএস এ একটি প্রশ্ন এসেছিল,
ষত্ব বিধান কিভাবে সহজে মনে রাখা যায়?
ষ-ত্ব বিধানের ক্ষেত্রে অনেকটা ণ-ত্ববিধানের নিয়ম অনুসরণ করা হয়। তবে পুরোপুরি না।
ষত্ব বিধান সহজে মনে রাখার জন্য আমরা চারটি নিয়ম অনুসরণ করবো। তবে গতানুগতিক বইয়ের মত করে না, নিজেদের মত করে। চলুন শুরু করি-
১. অ/আ ধ্বনি ছাড়া বাকী সবক্ষেত্রে ষ হয়।
যেমন - বহিষ্কার। এখানে কোন স/ষ হবে? দেখুন ষ এর আগে কি বর্ণ আছে তা আমাদের দেখতে হবে। খেয়াল করুন বহিষ্কার এর মধ্যে কি কি আছে? বহিষ্কার এর মধ্যে আছে- ব+হ+ই+ষ।এখানে কিন্তু অ/আ কোনটিই নেই আর ১ নং নিয়ম বলছে ১. অ/আ ধ্বনি ছাড়া বাকী সবক্ষেত্রে ষ হয়। কাজেই এখানে ষ হবে।
আরেকটি শব্দ দেখি- বিষয় = ব+ই+ষ
যেহেতু এখানে অ/আ কোনটিই নেই তাই ষ হবে।
একই ভাবে পরিষ্কার
2. তৎসম শব্দে র এর পরে ষ হয়।
তৎসম শব্দ আসলে কি? তৎসমকে যদি সহজ করে বলি তাহলে হবে যে শব্দকে সন্ধিবিচ্ছেদ করা যায় না।
যেমন বর্ষা । বর্ষা শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ হয় না। যেহেতু সন্ধিবিচ্ছেদ হয় না তাই এটা তৎসম শব্দ। কাজেই বর্ষা তৎসম শব্দে র এর পরে ষ হবে। একই ভাবে বর্ষণ।
এবার তৃতীয় নিয়ম দেখি,
এই নিয়মটা ণ-ত্ব বিধানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
নিয়মটা হলো-
৩.বিদেশী শব্দে কখনোই ষ হবেনা।
যেমন- স্টোর, ফটোস্টার্ট ইত্যাদি।
আরেকটি নিয়ম শিখে আমাদের ষ-ত্ব বিধান শেষ। তাহলো-
আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে- ণ-ত্ব বিধানে আমরা পড়েছিলাম, ট বর্গীয় যুক্ত বর্ণে ণ হয়। ঠিক ওই নিয়মটাও এখানে,
৪. ট বর্গীয় যুক্ত বর্ণের ষ হয় যেমন কষ্ট, নষ্ট ইত্যাদি।
আর কিছু শব্দ আছে যেগুলোতে নিত্য ষ হয়। অর্থাৎ এগুলো স্বৈরশাসক এর মত গায়ের জোরে ষ নিয়ে নেয়। যেমন- রোষ, কোষ, আষাঢ়, ভাষণ, ভাষা, উষা, পৌষ কলুষ, পাষাণ , মানুষ, ঔষধ, ষড়যন্ত্র, ভূষণ দ্বেষ ইত্যাদি।
তো এভাবে ষত্ব বিধান খুবই সহজ। তবে ১ নম্বর নিয়মটা খুবই ব্যাসিক নিয়ম। এটা মনে রাখলে অধিকাংশ প্রশ্ন সমাধান করা যায়।