৩৮ তম ভাইভা প্রস্তুতির ফাইলটি নিচ থেকে ডাউনলোড করে নিন।
৩৮তম বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি
<<মুক্তিযুদ্ধে মার্চ মাস>>>>>>>>
######১ তারিখ###### |
১।৩রা মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন এদিন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
২।স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
৩। ঢাকা সহ সারা দেশে বিক্ষোভ। ঢাকার ফার্মগেটে নিরস্ত্র জনতার উপর গুলিবর্ষন।
৪।ঢাকা স্টেডিয়ামে(বর্তমান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম) চলমান পাকিস্তান বনাম কমনওয়েলথ এর ক্রিকেট খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
৫।জয় বাংলা, বীর বাঙালি অন্ত্র ধর/বাংলাদেশ স্বাধীন কর, তোমার আমার ঠিকানা/ পদ্মা মেঘনা যমুনা প্রভৃতি শ্লোগানে ঢাকা আন্দোলিত।
########২ তারিখ#######
১।বঙ্গবন্ধু সাথারন ধর্মঘট আহবান করেন।
২।৩ মার্চ কে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয়।
৩।সকাল ১১ টায় আ স ম আব্দুর রব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন প্রাঙ্গনে মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন।
৪।বেতার মারফত রাতে ঢাকায় কারফিউ জারি করে পাকিস্তান সরকার।
####### ৩ তারিখ #######
১।পল্টন ময়দানে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত জনসভায় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদশের প্রস্তাবিত জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করা হয়।
২।সংগ্রাম পরিষদের নেতা শাহজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।
৩।বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করা হয়।
৪।বাঙালি - অবাঙালি সংঘর্ষে চট্রগ্রামে ১২০ জন নিহত ও ৩৩৫ জন আহত।
###### ৪ তারিখ#######
১।"রেডিও পাকিস্তান, ঢাকা" এর নাম পরিবর্তন করে "ঢাকা বেতার কেন্দ্র" নাম রাখা হয়।
২।চট্রগ্রামে ১২০ জন মারা গেলে বঙ্গবন্ধু বলেন, "চরম ত্যাগ স্বীকার ছাড়া কখনো কোন জাতীর মুক্তি আসেনি"।
৩।"জাতীয় পরিষদের প্রস্তাবিত অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতের ঘোষণা অবাঞ্ছিত ও অগণতান্ত্রিক"।
বেলুচিস্তান ন্যাপ।
####### ৫ তারিখ#######
১।শেখ মুজিবের আহবানে সারা দেশে ৫ দিন ব্যাপি হরতাল পালন।
২।পাকিস্তানের টিক্কা খান ও আসগর খান ঢাকায় আসেন।
৩।সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া হয়।
######৬ তারিখ#######
১।ইয়াহিয়া খান বেতারে ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকেন।
২।দিবাগত রাতে আওয়ামী লীগ নেতারা ৩২ নম্বরে বৈঠকে মিলিত হন।গভীর রাতে কোনরকম সিদ্বান্ত ছাড়াই বৈঠক মুলতবি।
####### ৭ তারিখ#######
১।বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ।
২।আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
৩।লে. জেনারেল শাহেবজাদা ইয়াকুব খানের স্থলে জে. টিক্কা খান কে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর নিয়োগ। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি তাকে শপথদানে অস্বিকৃীতি জানান।
###### ৮ তারিখ#######
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচারের মাধ্যমে ঢাকা বেতারের কার্যক্রম শুরু।
#######৯ তারিখ#######
১।চট্রগ্রামে জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসে অস্বিকৃীতি জানায় শ্রমিকেরা।
২।ভাসানী পল্টনে বলেন, "লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন"।
#######১০ তারিখ#######
প্রবাসী ছাত্ররা UNO এর সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করে।
#######১১ তারিখ#######
পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত UNO এর কর্মকর্তা কর্মচারিদের সদর দপ্তরে ফিরে আসতে বলা হয়।
#######১২ তারিখ#######
১।বিক্ষোভকারীদের সাহায্য করছে এমন কিছু ভারতীয়কে পাকরাও করা হয়েছে বলে পাকিস্তানের দাবি।
২।ভাসানী তাঁর জনসভায় বলেন, "মুজিব ৭ কোটি বাঙালির নেতা, তোমরা নেতার নির্দেশ মান্য কর"।
#######১৩ তারিখ#######
সামরিক আইন জারি করে ১৫ মার্চের মাঝে প্রতিরক্ষা বিভাগের বেসামরিক কর্মচারিদের কাজে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়, নতুবা ১০ বছরের কারাদন্ড ঘোষিত হয়।
#######১৪ তারিখ#######
ভুট্রো ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে তাদের সাথে কোয়ালিশন সরকার গঠনের হাস্যকর প্রস্তাব দেন।
#######১৫ তারিখ#######
ইয়াহিয়া খান ঢাকা সফরে আসেন।
######১৬ তারিখ#######
মুজিব ইয়াহিয়া আলোচনা শুরু।
#####১৭ তারিখ#######
১।মুজিব ইয়াহিয়া দ্বিতীয় দফা আলোচনা শুরু।
২।৫২ তম জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু বলেন, "আমার জন্মদিনই কী? আমার মৃত্যুদিনই কী? আমার জনগনের জন্যই আমার জীবন ও মৃত্যু"।
৩।ঢাকায় সামরিক বৈঠকে প্রণিত হয় বাঙালি হত্যার নীলনকশা অপারেশন সার্চলাইট।
######১৮ তারিখ#######
ধানমন্ডির বাড়িতে বঙ্গবন্ধু বলেন, "মুক্তি সংগ্রামের পতাকা আরও উপরে তুলে ধর"।
#######১৯ তারিখ#######
১।জয়দেবপুরে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ।
২।জয় বাংলা শ্লোগানের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু বলেন, "শেষ নিশ্বাস ত্যাগের সময় কালেমা পাঠের সাথে জয় বাংলা উচ্চারন করবো"।
৩।ইয়াহিয়া মুজিব তৃতীয় দফা আলোচনা।
#######২০ তারিখ#######
১।শহীদ মিনারে প্রাক্তন নৌ সেনাদের সমাবেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়।
২।ইয়াহিয়া মুজিব চতুূর্থ দফা আলোচনা।
######২১ তারিখ#######
১।জুলফিকার আলী ভুট্রোর ঢাকায় আগমন।
২।ভুট্রোর বক্তব্য, "সমস্যা সমাধানের জন্য ত্রিপক্ষীয় আলোচনা হতে হবে"।
#######২২ তারিখ#######
১।প্রতিটি সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকার ছবি ছাপা হয়।
২।পূর্বঘোষিত ২৫ মার্চের পার্লামেন্টের অধিবেশন পুনরায় স্থগিত।
♦২৩ তারিখ♦
১।আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়।
২।জয় বাংলা বাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
৩।বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাসভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
৪।প্রতিটি গৃহে বাংলাদশের নতুন জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
♦২৪ তারিখ♦
১।আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সমঝোতার শেষ চেষ্টা করেন।আওয়ামী লীগ ও ইয়াহিয়া খানের পরামর্শদাতাদের মাঝে সকাল ও সন্ধ্যায় দুই দফা নিস্ফল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২।চট্রগ্রাম বন্দরে এম ভি সোয়াট থেকে অস্ত্র খালাস শুরু।
♦২৫ তারিখ ♦
১।ইয়াহিয়া খানের গোপনে ঢাকা ত্যাগ।
২।দিবাগত রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গণহত্যা শুরু করে, যার প্রথম নাম ছিল অপারেশন ব্লিজ।পরবর্তিতে এর নামকরন করা হয় অপারেশন সার্চলাইট। এই অপারেশনকে পোড়া মাটি নীতি ও বলা হয়ে থাকে।
৩।দিবাগত রাতে ধানমন্ডির বাসভবন থেকে বঙ্গবন্ধুকে গ্রপ্তার করা হয়।যার সাংকেতিক নাম ছিল অপারেশন বিগ বার্ড।
♦২৬ তারিখ ♦
১।প্রথম প্রহরে (রাত ১২.২০ মিনিট) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
২।বেলাল মোহাম্মদের প্রচেষ্টায় স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত।
৩।দুপুর ২.৩০ মিনিটে এম এ হান্নান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।
৪।মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম বিজয়।কুমিল্লার কুমিরাতে পাক বাহিনীর প্রথম পরাজয়।এ যুদ্ধে দলপতি সহ ১৫২ জন পাক সেনার সবাই নিহত হয়।
♦২৭ তারিখ♦
১।সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে মি. জিয়াউর রহমান প্রথমে নিজ নামে, পরে বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
২।নিরাপদ আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশ- ভারত সীমান্ত উন্মুক্ত করা হয়।
♦২৮ তারিখ♦
১।মি. জিয়াউর রহমানের অনুরোধে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে বিপ্লবী শব্দটি বাদ দিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের পথচলা শুরু।
২।রাত ৮ টায় ইয়াহিয়া খান তার বেতার ভাষণে আওয়ামী লীগকে বেআইনি ও শেখ মুজিব কে পাকিস্তানের শত্রু ঘোষণা করেন।
♦২৯ তারিখ♦
হানাদার বাহিনী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে বোমা বর্ষণ করে।
♦৩০ তারিখ♦
ভারতের পার্লামেন্টে ঘোষণা করা হয় যে, পূর্ব পাকিস্তানে সংঘঠিত নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডে ভারত নিরব থাকতে পারেনা।
♦৩১ তারিখ♦
ভারতের লোকসভায় বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন ঞ্জাপন।